বাংলা সংক্ষিপ্ত নোট!

আমার আবেগি অনুভূতি!

লেখকঃ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।

রচনাকাল/সময়কাল: ২৫-০৭-১৯৯৭ ইংরেজি।

(এক):

পৃথিবীতে মানুষের বারংবার বংশানুক্রমে প্রত্যাবর্তন আমার কাছে অর্থহীন মনে হয় ।কেনই মানুষ আসে ?কেনই বা স্নেহ ,মায়া মমতার নিষ্ঠুর এই মরীচিকা খেলা খেলে? বিধাতা আমার তুমি বিস্ময়! তুমি অবিশ্বাসীর বিশ্বাস, মৃত্যুভয়ে ভিতদের শেষ আশ্রয়স্থল। মৃত্যুই তোমার মূল অস্ত্র। সংসার মরীচিকা, রক্তসূত্যতা ,মায়াময়ী নারী ,সবকিছু মিলিয়ে তুমিই অহংকারী । তুমি চাও যেভাবে, তোমারি ক্রোদে মোরা নিজেদেরই ভাঙ্গি। বৈষম্য তোমারি তৈরী, সাম্যের গান তুমিই গাইতে বলো। মোরা আছি পৃথিবীতে তুমি যাদের করেছো সৃষ্টি মোদের জন্য বলিদানে, তোমার তরে তাদেরই প্রতিকৃতি হয়ে । জানি সব, বুঝি বা কম কিসে, নাস্তিক হবো জেনেও, দিয়েছো জ্ঞানভাণ্ডার অসীম,দিয়েছ সীমাবদ্ধতা। মৃত্যুভয়ে মোরা ভীত।

( দুই):

মানুষের ক্ষুদ্রতা গুলি মাঝে মাঝে এতটাই প্রকট হয় যে ,মাঝে মাঝে এদের সঙ্গ অসহ্য লাগে। আবার এই মানুষরাই মাঝে মাঝে প্রিয় একজন হয়ে ওঠে। মানুষের বড় কষ্ট গুলো ততটা তীব্র, মর্মবিদারী হয়ে উঠে না যতটা না ছোট কষ্টগুলো। সবাই নিজেকে জাহির করতে চায় , চায় অন্যকে ছোট করে আনন্দ পেতে ,আমিও হয়তো ব্যতিক্রম নই। আমি পারি না কাউকে কষ্টের বিষে নীল করতে , ইচ্ছে করেই দেইনা অসহ্য যন্ত্রণা । কেউ কেউ আবার ইচ্ছে করেই কষ্ট দিতে , কষ্ট পেতেও ভালোবাসে। হয়ত এই মানুষের ধর্ম । সবাই ডিফারেন্ট কিছু একটা করতে চায়, ব্যতিক্রমী হতে উঠতে চায় । সত্যিই মানুষে মানুষে কতইনা ভিন্নতা, হয়তো এটাই মানুষ সৃষ্টির রহস্য।